কলকাতা ঃ
ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে আলো নিবিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকেছিল বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ।গত ১৫ ডিসেম্বর ভোর পাঁচটা নাগাদ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে ভারতের মাছ ধরার ট্রলারকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশি নৌবাহিনীর জাহাজের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ৫ জন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় পারমিতা-১১ নামের ওই ট্রলারটিতে মোট ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। পাশে থাকা এক ট্রলার তাঁদের মধ্যে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। তবে পাঁচ জনের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী।
এদিকে পারমিতা-১১ ট্রলারে থাকা ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে আজ সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ট্রলারটি ১৩ ডিসেম্বর নামখানা থেকে মাছ ধরতে সমুদ্রে রওনা দিয়েছিল। জানা যায়, ভোরে সমুদ্রে কুয়াশা এবং আধো অন্ধকার ছিল। সেই অবস্থাতেই ভারতীয় ট্রলারকে ধাক্কা মারে বাংলাদেশি জাহাজ।
ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে আলো নিবিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকেছিল বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ।
কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের জেলে থাকা ৪৭ জন মৎস্যজীবী ফেরেন দেশে। ভারতের জেলে থাকা ৩৭ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ফেরানো হয়েছিল তাদের দেশে। ‘এফবি মা মঙ্গলচণ্ডী-৩৮’, ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি পারমিতা’ নামক তিনটি ট্রলারও ফিরিয়ে দেওয়া হয় ভারতে। এই তিন ট্রলারে থাকা ৪৮ জন ভারতীয়র মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয় বিচারাধীন অবস্থায়। বাকিরা ফিরে আসেন ভারতে। মৃত মৎস্যজীবীর নাম বাবুল দাস। হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা বাবুল জন্মগতভাবে মূক ও বধির ছিলেন।
জুলাই মাসে ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী-৩৮’ ট্রলারে চেপে বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। পরে নভেম্বর পরিবারের কাছে বাংলাদেশ থেকে খবর আসে, জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবুলের। যদিও পরিবার অভিযোগ করে, জেলের ভিতরে অত্যাচার করে দাদাকে মেরে ফেলা হয়েছে।