শীতে বেশি ঘুম মানেই আরাম নয়, বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা হৃদরোগ নিয়ে

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 12 d ago
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
 
গুয়াহাটি 

শীত পড়তেই মানুষের ঘুমের চাহিদা বেড়ে যায়। সকালের কনকনে ঠান্ডায় বিছানা ছাড়তে মন চায় না, ফলে অনেকেই প্রতিদিন আগের চেয়ে বেশি সময় ঘুমান। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ঘুম আরাম নয়, বরং শরীরের জন্য লুকিয়ে নিয়ে আসতে পারে গুরুতর বিপদ। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করলেও তার পরিমাণ বেশি হলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ঘুমানোর ফলে শরীরে মেটাবলিজম কমে যায়, রক্তচাপ অস্থিতিশীল হয়, হার্টবিটের রিদমে পরিবর্তন আসে, এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। যার ফলেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
 
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা প্রতিদিন ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি স্বাভাবিক ঘুমের সময়সীমার মানুষদের তুলনায় প্রায় ৩০% বেশি। পাশাপাশি দেখা গেছে, বেশি ঘুমের সঙ্গে মোটা হওয়া, ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিস, এবং ব্লাড সঞ্চালনের সমস্যা সরাসরি সম্পর্কিত। বিশেষ করে শীতকালে যারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় ঘুমিয়ে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বাড়ে।
 
ডাক্তারের পরামর্শ, সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য ঘুমের সময়সীমা হতে হবে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। অতিরিক্ত ঘুম ভাব বা সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। এর পেছনে থাইরয়েড সমস্যা, ভিটামিনের ঘাটতি, বা ডিপ্রেশন লুকিয়ে থাকতে পারে, যার জন্য চিকিৎসাগত পরীক্ষা প্রয়োজন।
 
জীবনযাত্রার ছোট পরিবর্তনেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া ও ওঠা, সকালের রোদে ১০–১৫ মিনিট থাকা, ব্যায়াম করা এবং রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চললে ঘুমের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে।
 
এই শীতে তাই আরামদায়ক বিছানা যতই ডাকুক, অতিরিক্ত ঘুমের মোহে পা দেওয়া বিপদের কারণ হতে পারে। সুস্থ হৃদয় রাখতে মেনে চলুন সঠিক ঘুমের নিয়ম, কারণ ঘুম যতটা দরকার, তার বেশি কখনোই নয়।