ইন্ডিগোর বিপর্যয়: আকাশছোঁয়া টিকিট ভাড়া, ব্যাপক ফ্লাইট বাতিল ও সিইও-র ক্ষমাপ্রার্থনা
নয়াদিল্লি
দেশজুড়ে শুক্রবার ইন্ডিগো-র পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিল। দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, জম্মু ও কাশ্মীরসহ একাধিক বিমানবন্দরে ১,০০০-এরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ সিদ্ধান্তের ফলে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে আটকে পড়েন, অনেকেই ক্ষোভে প্রকাশ্যে প্রতিবাদে নামেন। নিরাপত্তা কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও সাধারণ যাত্রীরা তীব্র দুর্ভোগের শিকার হন।
বিমানবন্দরের অপেক্ষমান এলাকায় সারিবদ্ধভাবে বসে থাকা অসংখ্য যাত্রী, বিলম্ব ও বাতিল বিজ্ঞপ্তির প্রচার, দিনের পর দিন এমন দৃশ্য দেখা গেল দেশজুড়ে। চিকিৎসা, পড়াশোনা, অফিসিয়াল কাজ কিংবা জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে যাত্রাপথে থাকা বহু মানুষকে শেষ মুহূর্তে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হিমশিম খেতে হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যাত্রীদের ক্ষোভ উগরে পড়তে থাকে।
পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই শুক্রবার রাতে এক বিবৃতি জারি করেন ইন্ডিগো-র সিইও পিটার এলবার্স। তিনি যাত্রীদের অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে জানান, “আজকের দিনে ১,০০০-এরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধা হওয়া আমাদের কোনওভাবেই কাম্য নয়। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।” তবে ফ্লাইট বাতিলের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পরিস্থিতি আগে জানা সত্ত্বেও বিমান সংস্থা কেন আগেভাগে ব্যবস্থা নিল না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হঠাৎ কর্মী সংকট বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি ইত্যাদি সম্ভবত এই ব্যাপক পরিষেবা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর পুনর্বিন্যাস বা ফেরত টিকিট প্রক্রিয়াও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিল, দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো বর্তমানে বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে রয়েছে, যা সমাধান না হলে আগামী কয়েকদিনও যাত্রীদের দুর্ভোগ চলতে পারে।