বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে মরিয়া হাসিনা বিরোধীরা,উত্তাল ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর
ঢাকা ঃ
মানবতাবিরোধী মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হয় ১৭ নভেম্বর। আর এই আবহে সোমবার সকলা থেকেই ঢাকায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ভিড় করতে শুরু করেছিল হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এখানেই অবস্থিত ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন। তবে এমন একটি দিনে গোটা বিশ্বের নজর বাংলাদেশের ওপর থাকবে বলে সতর্ক ছিল ইউনুস প্রশাসন এবং বাংলাদেশ সেনা।
ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসবভনের অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ ভাঙতে ২টো বুলডোজার নিয়ে যাচ্ছিল হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তবে তাদের প্রথমে আটকানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। যদিও ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। পরে সেনা তাদের আটকেছিল। এরপর রায় ঘোষণার পরে বিক্ষোভকারীরা আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মুজিবের শেষ স্মৃতি নিশ্চিহ্ন করে দিতে। এহেন পরিস্থিতিতে পুলিশ ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীদের। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ধানমণ্ডি।
পুলিশ এবং সেনাকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেছিল হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পালটা সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরে রাত ১১টার দিকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই রাস্তার মুখে পুলিশ এবং সেনা অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্যও মোতায়েন আছে সেখানে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমণ্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জিসানুল হক গভীর রাতে জানান, সকল বিক্ষোভকারীরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে একটি বুলডোজার গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ৩২ নম্বরের বাড়িটি। তারও আগে গত বছরের ৫ অগস্ট আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ম্যুরাল থেকে মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতির ওপর আক্রমণ নেমে আসে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সরকারের তরফ থেকেও।