ঢাকা :
অভ্যুত্থানে অপসারিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকার পুর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি–সংক্রান্ত তিনটি মামলায় মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সাইমা ওয়াজেদ পুতুলকে এই তিন মামলার একটি মামলায় প্রতিজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্য আরও ২০ জন আসামির মধ্যে ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকারকে তিনটি মামলার সবগুলোতেই খালাস দেওয়া হয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী হাসিনার কারাদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে কার্যকর হবে বলে রায় ঘোষণার সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন আদালতে অনুপস্থিত অবস্থায় রায় পড়তে পড়তে জানান।
হাসিনাকে গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে পুর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে এর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মোট ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ ছিলো, রাজউকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে হাসিনা অবৈধভাবে পুর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের সেক্টর ২৭-এর কূটনৈতিক অঞ্চলে ১০ কাঠা করে মোট ছয়টি প্লট নিজের, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সাইমা ওয়াজেদ পুতুল; বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে বরাদ্দ নেন, যাদের কেউই বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী যোগ্য ছিলেন না।
২৫ মার্চ দুদক ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে ছয়টি মামলার ছয়টি অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে হাসিনাকে প্রতিটি মামলার সাধারণ আসামি হিসেবে দেখানো হয়।
৩১ জুলাই হাসিনা, রেহানা, জয়, পুতুল, ববি, টিউলিপ ও আজমিনা—সহ মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
