কলকাতা ঃ
রবিবার শহরে পা রেখেছেন বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন জার্মান অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউস। শহরে পা রাখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত স্কুল সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ফুটবল ক্লিনিকে অংশ নেবেন। তবে কলকাতার এই ক্লিনিকে ফুটবল শেখানোর ক্লাসে শুধুই কি শহরের নামীদামি স্কুলের ছেলেমেয়েরাই থাকবে? প্রাক্তন কিংবদন্তি এই ক্লিনিকের প্রসঙ্গ শুনে নিজেই উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন, তিনি এই শহরের প্রতিভাবান অথচ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া খুদে ফুটবলারদের ফুটবলের তালিম দিতে চান এই ক্লিনিকে এসে।
এতদিন শহরের বুকে যত ফুটবল ক্লিনিক হত, সেইসব ক্লিনিকে অগ্রাধিকার থাকত অভিজাত স্কুলের ছেলেমেয়েদের। শহরের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রতিভাবান খুদে ফুটবলাররা কিংবদন্তিদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পেত না। কিন্তু এবার যিনি ক্লিনিক করাতে আসছেন, সেই কিংবদন্তি তারকা নিজেই চাইছেন তাঁর ক্লাসে থাকুক প্রতিভাবান খুদে ফুটবলাররা। যারা আবার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। যারা একটু সুযোগ পেলেই অনেক লাভবান হবে ফুটবল। আর তাই উদ্যোক্তাদের ম্যাথাউস নিজেই অনুরোধ করেছেন, যদি তাদের খোঁজে প্রতিভাবান এমন প্রতিভাবান ফুটবলার থাকে, তাহলে যেন এই ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়।
এই ফুটবল ক্লিনিক আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা শ্রাচী স্পোর্টসের কর্তারা লোথার ম্যাথাউসের মতো একজন ফুটবল কিংবদন্তির কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে প্রতিভাবান খুদে ফুটবলারদরে খুঁজে বের করেন। রবিবার সকালে এমনই কয়েকজন ফুটবল প্রতিভাকে দক্ষিণ কলকাতার এই ফুটবল ক্লিনিকে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও সেই স্কুলের শিক্ষার্থীরা তো থাকবেই। এখানে এসে লোথার ম্যাথাউস তাদের আধুনিক ফুটবল শিক্ষার ক্লাস করাবেন। তারপর সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।
বেঙ্গল সুপার লিগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে শহরে পা রাখার আগেই এই শহরের ফুটবল প্রেম আর উন্মাদনার কথা শুনেছেন তিনি। এই শহরের সাংস্কৃতিক আভিজাত্যের কথাও শুনেছেন। রবিবার সারাদিন শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাবেন তিনি। একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর। এই অনুষ্ঠানে তিনি শর্বরী দত্তের ডিজাইনের ধুতি-পাঞ্জাবি পরবেন। কলকাতায় পা রেখে জার্মান তারকা ধরা দেবেন একেবারে বাঙালি সাজে। শুধু তাই নয়, জার্মানি থেকে ভারতে সঙ্গী হয়ে আসা তাঁর বান্ধবীও পরবেন শাড়ি। বিকেলে আইএফএ’র বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও যাবেন তিনি। সেখান থেকে যাওয়ার কথা রয়েছে বেটন কাপের ম্যাচ দেখতেও।